বর্তমান সময়ের রাজশাহীর পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হচ্ছে সাফিনা পার্ক| সাফিনা পার্ক রাজশাহীর গোদাগাড়ী খেজুর তলার দিগ্রামে অবস্থিত|২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল রাজশাহীর জনপ্রিয় এই পার্ক|পার্কে যখন গড়ে তোলা হয়েছিল তখন এর জনপ্রিয়তা ছিল অনেক| ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে|রাজশাহীর সাফিনা পার্ক প্রায় 40 বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে|
কিভাবে আসবেন: বিভাগীয় যেকোনো শহর থেকে সড়ক পথে রাজশাহী আসতে হবে| রাজধানী থেকে প্রায় সব পরিবহনেরই গাড়ি পেয়ে যাবেন| রাজধানী থেকে বাসের ভাড়া লাগবে আনুমানিক ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত| এছাড়াও আপনি চাইলে আকাশ পথেও রাজশাহী বিমানবন্দরে এসে নামতে পারেন| অথবা যে কোন শহর থেকে রেল যোগাযোগের মাধ্যমেও আসতে পারেন|
প্রথমে আপনাকে আকাশ পথ সড়ক পথ অথবা এর পথের মাধ্যমে রাজশাহী আসতে হবে| রাজশাহীতে আসার পর রিক্সা, সিএনজি, অটো, অথবা লেগুনাতে করে সরাসরি সাফিনা পার্কে পৌঁছাতে পারবেন|
পার্কের বর্তমান অবস্থা:২০১২ সালে পার্ক চালু হওয়ার পর এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে| তবে ২০২৪ সালে এসে পার্কটি আরও অনেক বেশি নতুনত্ব নিয়ে আসে| যুগ উপযোগী নতুনত্বকে দেখার জন্য অনেক দর্শণার্থী ভিড় করে রাজশাহীর সাফিনা পার্কে| তাই বলা যায় বর্তমানে সাফিনা পার্কের দর্শনার্থী অনেক| এছাড়াও পার্কের আয়তন বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে|
থাকার ব্যবস্থা: পার্কের ভেতরে দর্শনার্থীদের রাত্রে যাপনের জন্য তেমন কোন সিস্টেম রাখা হয়নি| তবে আপনি যদি রাজশাহীতে রাখতে যাপন করতে চান তাহলে পার্ক থেকে রাজশাহী শহরে এসে যে কোন হোটেলে থাকতে পারবেন|
খাওয়া-দাওয়া:পার্কের ভেতরে মুখরোচক অনেক ধরনের খাবার পাবেন| অন্যান্য পার্কের তুলনায় এখানে দাম তুলনামূলক কম| এছাড়া ভালো নয় তোমাদের খাবার পেতে হলে সরাসরি রাস্তায় শহরে গিয়ে রেস্তোরাঁয় খাওয়াই সব থেকে ভালো হবে| কারণ পার্কের আশে পাশে উন্নত মানের তেমন কোন রেস্তোরাঁ নেই|
টিকিট মূল্য: রাজশাহীর সাফিনা পার্কের বর্তমান টিকিট মূল্য ২০ টাকা| গাড়ি পার্কিং ও পিকনিক স্পট গুলোর জন্য আলাদা আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা আছে|পার্কে সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে|
রাজশাহীর অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলি:
- পদ্মা গার্ডেন
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- বরেন্দ্র জাদুঘর
- বাঘা জাদুঘর
- সারদা পুলিশ একাডেমি
- বাঘা শাহী মসজিদ
- পুঠিয়া রাজবাড়ী
- উৎসব পার্ক