অবস্থান: উৎসব পার্ক রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় অবস্থিত|উপজেলা থেকে মাত্র 2 কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত| উপজেলা শহর থেকে একটি নিরিবিলিতে সবুজের গাছ গাছালি ঘেরা অনেক সুন্দর মনোরম পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে|
উৎসব পার্ক: ২০১৪ সালে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঘা উপজেলার উৎসব পার্টি গড়ে উঠেছিল| পার্ক গড়ে ওঠার সময় এর পরিধি ছিল প্রায় ৭৫ বিঘা| পার্কটির প্রধান আকর্ষণ ছিল পুকুর| হ্যাঁ বন্ধুরা শুনতে অবাক হলেও উৎসব পার্কের ভেতরে মূলত ১৬থেকে ২০ এর অধিক পুকুর ছিল|পার্কটি উপজেলা শহর থেকে একটু দূরে অবস্থিত হওয়ার কারণে অনেক নিরিবিলি এবং সুন্দর মনোরম পরিবেশ বজায় ছিল| পার্কের ভেতরে শিশুদের বিনোদনের জন্য ভাস্কর্য, বিভিন্ন প্রাণীদের মূর্তি সহ আরো বেশ কিছু বিষয় যুক্ত ছিল|
যোগাযোগ ব্যবস্থা: বিভাগীয় যেকোনো শহর থেকে সরাসরি রাজশাহীতে আসতে পারেন| রাজশাহী থেকে বাঘার বাস পেয়ে যাবেন| বাঘা বাস কাউন্টার থেকে উৎসব পার্কের ভাড়া করতে হবে জনপ্রতি ১০ টাকা|এছাড়াও আপনার যদি ট্রেন যোগে আসতে চান তাহলে যে কোন স্টেশন থেকে ঈশ্বরদীতে আসতে পারবেন| ঈশ্বরদী থেকে মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উৎসব পার্কে পৌঁছাতে পারবেন সিএনজিতে করে|
খাওয়া ও থাকা: উৎসব পার্কের আশেপাশে থাকার মত কোন আবাসিক হোটেল নেই | তবে বাসস্ট্যান্ডে একটি ছোট আবাসিক হোটেল আছে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন| খাবার জন্য আপনারা উপজেলার বিখ্যাত দুটি রেস্টুরেন্ট রওশনারা ও বসুন্ধরা নির্বাচন করতে পারেন| উপজেলা ভূমি অফিসের সামনেই বা বাঘার বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট রওশনারা অবস্থিত|
প্রবেশ মূল্য: বাঘা উৎসব পার্কের ভেতরের প্রবেশ মূল্য ত্রিশ টাকা| পিকনিক স্পটগুলোর জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ধরা হয়| যানবাহন রাখার জন্য দশ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত টিকিট মূল্য ধরা হয়|
উৎসব পার্কের বর্তমান অবস্থা
২০১৪ সালে যখন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে উৎসব পার্কে চালু করা হয় তখন এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল| তবে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে উৎসব পার্কের জনপ্রিয়তা হারিয়ে গেছে| এখন আর দূর থেকে পর্যটক টা ভ্রমণ করতে আসে না| যা আসে তা খুবই নগণ্য|
পার্কের ভেতরে বর্তমানে মূলত তরুণ তরুণদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচালিত হয়| পারিবারিক বিনোদনের জন্য পার্কটি বর্তমানে তার ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি|
উৎসব পার্কের নিকটবর্তী কিছু বিনোদন স্পর্ট
- ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদ
- বাঘা জাদুঘর
- বরেন্দ্র জাদুঘর
- পুঠিয়ার রাজবাড়ি
- নাটোর গ্রিন ভ্যালি পার্ক
- রাজশাহী সাফিনা পার্ক
- প্রগতি পার্ক
- আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রম